নেদারল্যান্ডে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ড সফর করেছেন। নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের কোন সরকার প্রধানের প্রথম সফরকালে ডাচ সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আতিথেয়তা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা ৪ নভেম্বর ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ফলপ্রসূ আলোচনার পর বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড শিক্ষা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার লক্ষ্যে চারটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণের জন্য বদ্বীপ এলাকা নিরাপদ ও উৎপাদনশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
শেখ হাসিনা ডাচ মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাণী অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের উন্নয়ন সংক্রান্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন বিষয়ক উপদেষ্টা রাণী ম্যাক্সিমা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক অভিযোজনমূলক কৌশল প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন।
ডাচ ব্যবসায়ী ও শিল্প সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শেখ হাসিনা বিনিয়োগ, বাণিজ্য, মুনাফা লাভ এবং সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির বিষয় উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। এতে আইনের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগের সুরক্ষা, উদার ট্যাক্স হলিডে, মেশিনারীজ আমদানীতে শুল্ক হ্রাসের সুবিধা, রেমিটেন্স পাঠনো এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে নেদারল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।